হযরত-নূহ-আঃ ছিলেন আল্লাহর একজন গুরুত্বপূর্ণ রাসূল, যিনি ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম প্রথম নবী হিসেবে পরিচিত। তাঁর জীবনের ঘটনা কোরআনে বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে এবং তিনি উম্মতের প্রতি ধৈর্য, দাওয়াত ও ত্যাগের প্রতীক।
Contents
হযরত নূহ (আঃ) কে ছিলেন?
হযরত নূহ (আঃ) আদম (আঃ)-এর পরে আগত নবীদের মধ্যে অন্যতম। তিনি এমন একটি জাতির মধ্যে প্রেরিত হয়েছিলেন যারা মূর্তিপূজা করত এবং আল্লাহকে ভুলে গিয়েছিল। আল্লাহ তাঁকে প্রেরণ করেন মানুষকে তাওহিদের পথে ডাক দিতে।
হযরত-নূহ-আঃ এর দাওয়াতের সময়কাল
হযরত নূহ (আঃ) প্রায় ৯৫০ বছর (সূরা আনকাবূত, আয়াত ১৪) দাওয়াত দিয়েছেন। এ সময় তিনি নিরলসভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাক দিয়েছেন, কিন্তু অধিকাংশই তা গ্রহণ করেনি।
নূহ (আঃ) এর কওমের অবাধ্যতা
তার কওম তাঁকে পাগল বলেছে, উপহাস করেছে এবং তাঁর দাওয়াতকে অস্বীকার করেছে। এমনকি তাঁর নিজের স্ত্রী এবং পুত্রও তাঁর পথে চলেনি।
নূহ (আঃ) এর তৈরি করা নৌকা ও মহাপ্লাবন
আল্লাহর নির্দেশে হযরত-নূহ-আঃ একটি বিশাল নৌকা নির্মাণ করেন। অবশেষে, কওমের অবাধ্যতার কারণে আল্লাহ তাদের উপর মহাপ্লাবন (বড় বন্যা) প্রেরণ করেন, যা অবিশ্বাসীদের ধ্বংস করে দেয়। কেবল যারা নূহ (আঃ)-এর সাথে নৌকায় ছিলেন, তারা রক্ষা পায়।
হযরত নূহ (আঃ)-এর শিক্ষণীয় দিক
- ধৈর্য ও সহনশীলতা: দীর্ঘ ৯৫০ বছর দাওয়াত দিয়ে গেছেন।
- আল্লাহর প্রতি নির্ভরতা: কওম প্রত্যাখ্যান করলেও তিনি বিশ্বাস হারাননি।
- তাওহিদের গুরুত্ব: আল্লাহর একত্বের উপর মানুষকে আহ্বান করেছেন।
নূহ (আঃ)-এর ঘটনা কোরআনের বিভিন্ন সূরায় উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন:
- সূরা হূদ
- সূরা নূহ
- সূরা আনকাবূত
- সূরা আশ-শুয়ারা
উপসংহার
হযরত-নূহ-আঃ আমাদের জন্য এক অনন্য আদর্শ। তাঁর জীবনী আমাদের শেখায় কীভাবে সৎপথে অটল থাকা যায়, ধৈর্য ধারণ করতে হয় এবং আল্লাহর উপর সম্পূর্ণ ভরসা রাখতে হয়। তাঁর কাহিনী থেকে আমরা অনেক মূল্যবান শিক্ষা নিতে পারি যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রযোজ্য।